সাদুল্লাপুরের নাপিতের বাজারে দোকানের বাকি টাকা চাওয়ায় গু#লি বর্ষণ আহত ২
রংপুর জেলা প্রতিনিধি:গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের নাপিতের বাজারে দোকানের বাকী টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র হামলায় নারীসহ দু’জন গু#লি#বিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— ইদিলপুর ইউনিয়নের চকদারিয়া গ্রামের মজিদ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ সেলিনা আক্তার (৪২) ও একই গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার পুত্র ওয়াসিম (১৭)। বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,সকাল ১০টায় নাপিতের বাজারে সিদ্দিকের চায়ের দোকানে ইদিলপুর ইউনিয়নের চকদারিয়াপুর গ্রামের মৃত তোয়েজ মিয়ার ছেলে গোলাপ (৩০) খাজা ও চা পান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসিম টাকা চায়।
গোলাপ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বাকবিতন্ডায় ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে গোলাপ বাড়ি থেকে পিস্তল নিয়ে গিয়ে ওয়াসিমকে গুলি করে। গুলি করে ফেরার পথে ওয়াসিমের ভাবী বাঁধা দিলে তাকেও গুলি করে।
গুলির শব্দে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টি ও অস্ত্র থাকায় আর কেউ এগিয়ে আসেনি।সে স্হান ত্যাগ করলে স্হানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়। এলাকাবাসীরা জানায়,গোলাপ বিভিন্ন নেশার সাথে জড়িত ও ইতিপূর্বে সে একটি বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে জেলে গিয়েছে।সে এলাকায় বকাটে হিসেবেই পরিচিত।
খবর পেয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, “দোকানের বাকী টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত গোলাপকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।” তাকে গ্রেপ্তারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
কে এই গোলাপ?
সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চক দারিয়া গ্রামের মৃত্যু তয়েজ উদ্দিন এর পুত্র গোলাপ। বাবা মা মারা যাওয়ার পর বেপরোয়া জীবনযাপন করত গোলাপ। সময়ের সাথে সাথে মাদক অস্ত্র ব্যবসা চোরাকারবারী সহ নানান অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পরে। পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির পালিত সন্তান হিসেবে পরিচিত গোলাপ স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার অন্যতম দায়িত্বশীল নেতা বলে এলাকায় পরিচত আছে। এলাকার লোক বলছেন সে সারাক্ষণ অস্ত্র সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো যে কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো মানুষ কথা বলার সাহস পেত না।
এরকম ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে অবিলম্বে সন্ত্রাসী গোলাপকে গ্রেপ্তা*র করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।